রেবা বড়ুয়ার জন্মদিনে, সঞ্চয় কুমার দাশঃ
শেষ রাতে ঘুমটা ভেঙে গেল হঠাৎ
ভাবলাম, একটা কবিতা লিখবো তোমাকে নিয়ে ।
ছটফট করছিলাম আর ভাবছিলাম , উচাটন মন বলছিল-
তুমি অধরা, তোমার আসনটি অনেক অনেক উঁচুতে
তোমাকে আবদ্ধ করা যায় না কবিতার ফ্রেমে,
কোন নির্দিষ্ট গণ্ডি বা পরিসীমায় ।
হালদা পাড়ের একটা সাধারণ মেয়ে তুমি
আর দশটা মেয়ের মতোই আটপৌড়ে জীবন,
অথচ যার রক্তে রয়েছে মাষ্টারদা সূর্যসেনের দীক্ষার অগ্নিমন্ত্র ।
তাকে কি নিবৃত করা যায়? বিচ্যুত করা যায়?
অগ্নিযুগের প্রীতিলতার আদর্শ থেকে
সময়ের প্রয়োজনে তুমি চলে এলে
গ্রামীণ জীবনের আঙিনা থেকে
ইট-পাথর আর সুরকী দালানের মাঝে
‘কঠিনেরে ভালবাসার’ ডাকে শহর চট্টগ্রামে ।
অমোঘ কর্তব্যের আহবানে নিরন্তর ছুটে চলার প্রত্যয়ে
জনতার ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছ দুর্বার গতিতে
মুক্তিযুদ্ধ,মুক্তবুদ্ধি,মুক্ত চিন্তা-চেতনার কাণ্ডারী হয়ে ।
কি রাজনীতি, কি সমাজনীতি, কি মানবতাবাদী কর্মী হয়ে
কোথায় তুমি নেই ? কোথায় নেই তোমার পদচারণা ?
প্রতিবাদে, মিছিলে, স্লোগানে, উত্তাল সংগ্রামের
অগ্রভাগের লড়াকু সৈনিক আর মানবতার
ফেরীওয়ালা রেবা বড়ুয়া সবার প্রিয় মানুষ প্রিয় মুখ,
আর এই প্রজন্মের তারুণ্যের অহঙ্কার ।
জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক রেবা
সিক্ত হউক তথাগত বুদ্ধের আশীর্বাদে ।।
বেঁচে থাকুক অনেক বছর,
অনেক যুগ-যুগান্তর,অনন্তকাল ।।